রপ্তানি খরচ কমবে, বন্দর ব্যবহারে আসবে গতি
চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল

- আপডেট সময় : ১১:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল চালু হতে যাচ্ছে। চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এই রুট চালু করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘সী গ্লোরী’। এই উদ্যোগ খুলনা অঞ্চলের রপ্তানিমুখী শিল্প ও পণ্য পরিবহণে বড় সুবিধা আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থেকে নানা সংকটের মুখে পড়া মোংলা বন্দর বর্তমানে লাভজনক ও কর্মচঞ্চল একটি বাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বেড়েছে বন্দরের সক্ষমতা। তবে এখনো কন্টেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা সীমিত, যার প্রধান কারণ খালি কন্টেইনারের অভাব এবং অতিরিক্ত পরিবহণ ব্যয়।
মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে খালি কন্টেইনার আনতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। অভ্যন্তরীণ রুট চালু হলে সময় ও খরচ—দুটোই কমে আসবে।”
চট্টগ্রামের শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘সী গ্লোরী’ পরীক্ষামূলকভাবে এই রুটে কন্টেইনার পরিবহন করেছে এবং সফল ফলাফল পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মাইনুল হোসাইন জানান, ফেব্রুয়ারিতে একবার ৭০টি কন্টেইনার নিয়ে পরিবহন করা হয়। এতে মাছ, হিমায়িত পণ্য ও পাট ছিল, যা চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তিনি আরও বলেন, “আমাদের যদি পানগাঁওয়ের মতো ফিডার সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ হয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটবে।”

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (খুলনা) চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বলেন, “দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার চলাচলের পথ খুলে দিলে রপ্তানি বাড়বে। এজন্য বন্দরের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের নীতিগত ও প্রক্রিয়াগত সহায়তা জরুরি।”
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, “মোংলা বন্দর এখন অনেক বেশি গতিশীল। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বন্দর আরও কার্যকর হবে। চট্টগ্রাম-মোংলা কন্টেইনার রুট দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”