চারুকলায় প্রতিকৃতি পোড়ার ঘটনায় ঢাবির তদন্ত কমিটি গঠন

- আপডেট সময় : ০৩:১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা দুইটি শিল্পকর্ম—‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ প্রদর্শনের জন্য নির্মিত প্রতীকী ফ্যাসিস্ট দানবীয় মোটিফ পোড়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল। বাকি সদস্যরা হলেন—আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল এবং সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।
এদিকে, আগুন লাগার ঘটনাটি নিয়ে চারুকলা অনুষদ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে।
ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।
এর আগে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মুখাকৃতি ভাস্কর্য আগুনে পুড়ে গেছে।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “হাসিনার দোসররা গতকাল ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী লীগের বি-টিম—তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে, এবং দ্রুতই।”

ফারুকী আরও লিখেছেন, “পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা বন্ধ করতে যারা কাজ করছে, তারা আসলে ফ্যাসিবাদেরই পৃষ্ঠপোষক। আমরা শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনবো না, আমরা নিশ্চিত করবো এবারের শোভাযাত্রা যেন আরও অর্থবহ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়।”
তিনি বলেন, “গতরাতের ঘটনার মাধ্যমে হাসিনার দোসররা প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা চায় না দেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব পালন করুক। কিন্তু আমরা এখন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো।”