উখিয়ার ১৩ এসএসসি শিক্ষার্থী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন

- আপডেট সময় : ১০:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৯২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১৩ শিক্ষার্থীর। ভোগান্তির প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এখন তারা দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হিসাবে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও উখিয়ার মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ১৩ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। সকালবেলা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেখতে পেয়ে হতবিহ্বল শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কেউই প্রবেশপত্র পাননি। অথচ তারা নিয়মিত ক্লাস করেছে এবং ফরম পূরণের টাকা সময়মতো জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সকল দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন—সুফাইরা আক্তার, নাইমা, সানজিদা আক্তার, নাছিমা আক্তার, রুনা, সুইটি আক্তার, মাহামুদুল হক, নয়ন মনি, নাসির মোহাম্মদ, শারমিনা কামাল, রেনজিনা আক্তার, হাফসা আক্তার এবং রিহাদুল ইসলাম।
সুফাইরার মা জাহান আরা বলেন, “আমরা শুধু চাই আমাদের মেয়েরা যেন রবিবার থেকে পরীক্ষা দিতে পারে। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হোক।”
শারমিনার বাবা আক্তার কামাল অভিযোগ করে বলেন, “এই ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. জহির আহমেদ। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি লুটেপুটে খাচ্ছেন। ইউএনও আমাদের জানিয়েছেন, তিনি নিজেই বাদী হয়ে মামলা করবেন এবং রবিবারের পরে একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।”
আরেক অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “আমরা নিয়ম মেনেই ফরম পূরণের টাকা দিয়েছি। প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল আজ সকালে। কিন্তু এসে দেখি স্কুল তালাবদ্ধ। এটা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মসকরা ছাড়া কিছু নয়।”
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি, এটি সত্য। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুসকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন। স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে জানতে পারি, তারা কোনো ফরম পূরণই করেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এভাবে অনুমোদনহীন বা অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত স্কুল শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করছে। অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জহির উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।