ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ব্যাখা দিল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির সুবিধাসংক্রান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিল করেছে ভারত। এটি বাতিল করার পর এ নিয়ে ব্যাখা করে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে ভারত

বুধবার (০৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ব্যাপক জট সৃষ্টি হচ্ছিল। এতে ভারতের নিজস্ব রপ্তানি কার্যক্রমে বিলম্ব ও ব্যয়বৃদ্ধি হচ্ছিল, যা ব্যাকলগ তৈরি করছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, এই পদক্ষেপ নেপাল বা ভুটানে গমনকারী বাংলাদেশি রপ্তানিকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না। এসব রপ্তানি আগের নিয়মেই ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে চলবে।

এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের এ ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের এক আদেশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বা ক্লোজ-বডি ট্রাক ভারতীয় স্থল কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের পথে পাঠানো যেত, সেটি এখন বাতিল করা হয়েছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব

ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য ভারতের অবকাঠামো ব্যবহার করে সম্পন্ন হতো। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) বলছে, এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। যদিও পূর্বে প্রবেশ করা পণ্যবাহী যানবাহন বিদ্যমান নিয়মে ভারত ত্যাগ করতে পারবে।

জিটিআরআইর প্রধান এবং সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য একতরফাভাবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের লালমনিরহাটে চীনের সহায়তায় একটি বিমানঘাঁটি পুনর্জীবিত করার পরিকল্পনা এবং চিকেন নেক করিডোরের নিকটে একটি কৌশলগত ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টা এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ব্যাখা দিল ভারত

আপডেট সময় : ১১:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির সুবিধাসংক্রান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিল করেছে ভারত। এটি বাতিল করার পর এ নিয়ে ব্যাখা করে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে ভারত

বুধবার (০৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ব্যাপক জট সৃষ্টি হচ্ছিল। এতে ভারতের নিজস্ব রপ্তানি কার্যক্রমে বিলম্ব ও ব্যয়বৃদ্ধি হচ্ছিল, যা ব্যাকলগ তৈরি করছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, এই পদক্ষেপ নেপাল বা ভুটানে গমনকারী বাংলাদেশি রপ্তানিকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না। এসব রপ্তানি আগের নিয়মেই ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে চলবে।

এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের এ ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের এক আদেশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বা ক্লোজ-বডি ট্রাক ভারতীয় স্থল কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের পথে পাঠানো যেত, সেটি এখন বাতিল করা হয়েছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব

ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য ভারতের অবকাঠামো ব্যবহার করে সম্পন্ন হতো। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) বলছে, এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। যদিও পূর্বে প্রবেশ করা পণ্যবাহী যানবাহন বিদ্যমান নিয়মে ভারত ত্যাগ করতে পারবে।

জিটিআরআইর প্রধান এবং সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য একতরফাভাবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের লালমনিরহাটে চীনের সহায়তায় একটি বিমানঘাঁটি পুনর্জীবিত করার পরিকল্পনা এবং চিকেন নেক করিডোরের নিকটে একটি কৌশলগত ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টা এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।