ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার শর্তে একমত হলে ২০২৭ সালে নির্বাচনের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণহত্যার অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সহ চারটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই ঐক্যমত্যে পৌঁছায় দুটি দল। বৈঠকে উভয় পক্ষের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের ইতিবাচক আলোচনা থাকলেও, এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে হেফাজত চারটি নির্দিষ্ট শর্তে একমত হয়।

শর্তগুলো হলো:

২০১৩ সালের ঘটনাসহ অন্যান্য গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে এবং দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

হেফাজত-এনসিপি বৈঠক
হেফাজত-এনসিপি বৈঠক

বিশ্বস্ত একটি সূত্রের মতে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় আগামী ২০২৭ সালের দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, কিংবা সেটিও অনিশ্চিত।

বৈঠকে হেফাজতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মামুনুল হক, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আহমেদ আবদুল কাদের, আহমেদ আলী কাসেমী এবং মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।

অন্যদিকে, এনসিপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, সংগঠক মো. সানাউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম আইনী।

বৈঠক শেষে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চারটি মূল দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছি: আওয়ামী লীগের বিচার, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির নিষিদ্ধকরণ, নির্বাচনের আগে বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবি।”

এই চার শর্ত বাস্তবায়ন ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চার শর্তে একমত হলে ২০২৭ সালে নির্বাচনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

গণহত্যার অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সহ চারটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই ঐক্যমত্যে পৌঁছায় দুটি দল। বৈঠকে উভয় পক্ষের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের ইতিবাচক আলোচনা থাকলেও, এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে হেফাজত চারটি নির্দিষ্ট শর্তে একমত হয়।

শর্তগুলো হলো:

২০১৩ সালের ঘটনাসহ অন্যান্য গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে এবং দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

হেফাজত-এনসিপি বৈঠক
হেফাজত-এনসিপি বৈঠক

বিশ্বস্ত একটি সূত্রের মতে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় আগামী ২০২৭ সালের দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, কিংবা সেটিও অনিশ্চিত।

বৈঠকে হেফাজতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মামুনুল হক, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আহমেদ আবদুল কাদের, আহমেদ আলী কাসেমী এবং মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।

অন্যদিকে, এনসিপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, সংগঠক মো. সানাউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম আইনী।

বৈঠক শেষে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চারটি মূল দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছি: আওয়ামী লীগের বিচার, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির নিষিদ্ধকরণ, নির্বাচনের আগে বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবি।”

এই চার শর্ত বাস্তবায়ন ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।