ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি

নুরুল বশর, উখিয়া (কক্সবাজার)
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সীমান্তের ওপারে আগুনের কুণ্ডলী এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে, যা রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার আলোচনা চলার মধ্যেই টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এই আগুনের কুণ্ডলী এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এবং শাহপরীর দ্বীপসহ তিনটি সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

রোহিঙ্গারা দাবি করছে, রাখাইনে তাদের পরিত্যক্ত বাড়ি-ঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি। সম্প্রতি মিয়ানমারে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার সম্মতি প্রদান করায়, এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যাতে রোহিঙ্গাদের মনে করিয়ে দেওয়া যায় যে, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও ভালো হয়নি এবং তারা ফেরত না যাক।

এদিকে, টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে, নতুন করে কেউ বাংলাদেশের দিকে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাফ নদীর ওপারে রাখাইনে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেছে এবং স্থানীয়রা এতে ভিড় করে দেখতে শুরু করে। তাঁদের মতে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আলোচনার কারণে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এবং রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে না যায়।

এছাড়া, বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি, যাদের মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে দীর্ঘ ৮ বছরে একটি রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি এবং কিছুদিন আগে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্তে আগুনের ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর থেকে বিজিবি এবং কোস্ট গার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, যাতে কেউ নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে এবং বিজিবি-কোস্ট গার্ডের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রোহিঙ্গাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সীমান্তের ওপারে আগুনের কুণ্ডলী এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে, যা রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার আলোচনা চলার মধ্যেই টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এই আগুনের কুণ্ডলী এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এবং শাহপরীর দ্বীপসহ তিনটি সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

রোহিঙ্গারা দাবি করছে, রাখাইনে তাদের পরিত্যক্ত বাড়ি-ঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি। সম্প্রতি মিয়ানমারে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার সম্মতি প্রদান করায়, এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যাতে রোহিঙ্গাদের মনে করিয়ে দেওয়া যায় যে, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও ভালো হয়নি এবং তারা ফেরত না যাক।

এদিকে, টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে, নতুন করে কেউ বাংলাদেশের দিকে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাফ নদীর ওপারে রাখাইনে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেছে এবং স্থানীয়রা এতে ভিড় করে দেখতে শুরু করে। তাঁদের মতে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আলোচনার কারণে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এবং রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে না যায়।

এছাড়া, বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি, যাদের মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে দীর্ঘ ৮ বছরে একটি রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি এবং কিছুদিন আগে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্তে আগুনের ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর থেকে বিজিবি এবং কোস্ট গার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, যাতে কেউ নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে এবং বিজিবি-কোস্ট গার্ডের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে