ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠক

গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠক

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চলছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জিম্মিদের বের করে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুজন বক্তব্য দেন। খবর আলজাজিরার।

এ সময় নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা জিম্মিদের বের করে আনতে চাই। জিম্মিদের নিয়ে আমাদের সমস্যা আছে। তাদের বের করে আনা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা উপত্যকা একটি মৃত্যুফাঁদের মতো এবং এটি একটি খুব বিপজ্জনক জায়গা যা পুনর্নির্মাণের জন্য কয়েক বছর প্রয়োজন। আমি বুঝতে পারছি না, ইসরায়েল কেন অতীতে গাজা উপত্যকা ছেড়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও দুর্দশা থেকে রেহাই দিতে অন্যান্য দেশ গাজা উপত্যকা থেকে তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি এবং আমরা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব। আমরা আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টা করছি। গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের শরীরে কোনো ক্ষত ছিল না, কিন্তু তাদের আত্মা ক্ষতবিক্ষত ছিল। আমি গাজা উপত্যকা থেকে মুক্তি পাওয়া ১০ জন জিম্মির সঙ্গে কথা বলেছি যারা তাদের ওপর হামাসের নৃশংসতার কথা বলেছেন। আমরা গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু পাশাপাশি বসেন। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন।

অপর দিকে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্পকে ইসরায়েল ও ইহুদিদের একজন অসাধারণ বন্ধু অভিহিত করেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি দূর করবেন। তিনি মনে করেন, এটিই সঠিক কাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চলছে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠক

গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চলছে

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চলছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জিম্মিদের বের করে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুজন বক্তব্য দেন। খবর আলজাজিরার।

এ সময় নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা জিম্মিদের বের করে আনতে চাই। জিম্মিদের নিয়ে আমাদের সমস্যা আছে। তাদের বের করে আনা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা উপত্যকা একটি মৃত্যুফাঁদের মতো এবং এটি একটি খুব বিপজ্জনক জায়গা যা পুনর্নির্মাণের জন্য কয়েক বছর প্রয়োজন। আমি বুঝতে পারছি না, ইসরায়েল কেন অতীতে গাজা উপত্যকা ছেড়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও দুর্দশা থেকে রেহাই দিতে অন্যান্য দেশ গাজা উপত্যকা থেকে তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি এবং আমরা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব। আমরা আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টা করছি। গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের শরীরে কোনো ক্ষত ছিল না, কিন্তু তাদের আত্মা ক্ষতবিক্ষত ছিল। আমি গাজা উপত্যকা থেকে মুক্তি পাওয়া ১০ জন জিম্মির সঙ্গে কথা বলেছি যারা তাদের ওপর হামাসের নৃশংসতার কথা বলেছেন। আমরা গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু পাশাপাশি বসেন। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন।

অপর দিকে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্পকে ইসরায়েল ও ইহুদিদের একজন অসাধারণ বন্ধু অভিহিত করেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি দূর করবেন। তিনি মনে করেন, এটিই সঠিক কাজ।