ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিশ্চয়তায় ১০,৪৮৭ হজযাত্রী, কঠোর অবস্থানে ধর্ম মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

হজযাত্রী (ফাইল ফটো)

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মক্কায় ৭,২৭৪ জন ও মদিনায় ৩,২১৩ জনসহ মোট ১০,৪৮৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়া এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় গভীর উদ্বেগে রয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তবে ব্যর্থ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সর্বশেষ ৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে জানা যায়, ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মক্কায় ১,১২৬ এবং মদিনায় ১,০৬৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট এখনও নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সাবমিট করা হয়নি।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৮১,৯০০ হজযাত্রীর মধ্যে বর্তমানে মক্কায় ৭৪,৬২৬ এবং মদিনায় ৭৮,৬৮৭ জনের বাড়িভাড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ১০,৪৮৭ জন হজযাত্রী এখনও চুক্তির বাইরে রয়েছেন, যা তাদের হজযাত্রা অনিশ্চিত করে তুলেছে।

ড. খালিদ হোসেন জানান, “আমরা নিয়মিতভাবে হজ এজেন্সিগুলোকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট করার জন্য চাপ দিচ্ছি। যেসব এজেন্সি এখনও বাড়িভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন করেনি, তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, গতকাল পর্যন্ত এমন ২১টি এজেন্সি ছিল, তবে এখন সেই সংখ্যা কমে ৯টিতে দাঁড়িয়েছে। সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সকল হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সিগুলোকে একাধিকবার চিঠি, এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

হজযাত্রী (ফাইল ফটো)
হজযাত্রী (ফাইল ফটো)

ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো হজযাত্রী যদি হজে যেতে না পারেন, তার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকেই নিতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এই দায় নেবে না এবং কোনো অবহেলা সহ্য করবে না। এজেন্সির অব্যবস্থাপনার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”

তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৫,২০০ হজযাত্রীর জন্য মিনায় ও আরাফায় তাঁবু, ক্যাটারিং, বাড়িভাড়া এবং পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের ভিসা প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে এবং ২৯ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট শুরু হবে।

এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৮১,৯০০ জন হজযাত্রী ৭৫৩টি এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন, যাদেরকে ৭০টি লিড এজেন্সির অধীনে সংগঠিত করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সৌদি সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাড়িভাড়া ও পরিবহন চুক্তি সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীরা হজে অংশ নিতে পারবেন না। সেই সময়সীমা ছিল ২৫ মার্চ, যা পরে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় এবং বর্তমানে তা আবার ৫ এপ্রিল থেকে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে—যা যেকোনো সময় আবার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনিশ্চয়তায় ১০,৪৮৭ হজযাত্রী, কঠোর অবস্থানে ধর্ম মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

মক্কায় ৭,২৭৪ জন ও মদিনায় ৩,২১৩ জনসহ মোট ১০,৪৮৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়া এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় গভীর উদ্বেগে রয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তবে ব্যর্থ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সর্বশেষ ৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে জানা যায়, ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মক্কায় ১,১২৬ এবং মদিনায় ১,০৬৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট এখনও নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সাবমিট করা হয়নি।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৮১,৯০০ হজযাত্রীর মধ্যে বর্তমানে মক্কায় ৭৪,৬২৬ এবং মদিনায় ৭৮,৬৮৭ জনের বাড়িভাড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ১০,৪৮৭ জন হজযাত্রী এখনও চুক্তির বাইরে রয়েছেন, যা তাদের হজযাত্রা অনিশ্চিত করে তুলেছে।

ড. খালিদ হোসেন জানান, “আমরা নিয়মিতভাবে হজ এজেন্সিগুলোকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট করার জন্য চাপ দিচ্ছি। যেসব এজেন্সি এখনও বাড়িভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন করেনি, তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, গতকাল পর্যন্ত এমন ২১টি এজেন্সি ছিল, তবে এখন সেই সংখ্যা কমে ৯টিতে দাঁড়িয়েছে। সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সকল হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সিগুলোকে একাধিকবার চিঠি, এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

হজযাত্রী (ফাইল ফটো)
হজযাত্রী (ফাইল ফটো)

ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো হজযাত্রী যদি হজে যেতে না পারেন, তার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকেই নিতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এই দায় নেবে না এবং কোনো অবহেলা সহ্য করবে না। এজেন্সির অব্যবস্থাপনার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”

তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৫,২০০ হজযাত্রীর জন্য মিনায় ও আরাফায় তাঁবু, ক্যাটারিং, বাড়িভাড়া এবং পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের ভিসা প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে এবং ২৯ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট শুরু হবে।

এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ৮১,৯০০ জন হজযাত্রী ৭৫৩টি এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন, যাদেরকে ৭০টি লিড এজেন্সির অধীনে সংগঠিত করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সৌদি সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাড়িভাড়া ও পরিবহন চুক্তি সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীরা হজে অংশ নিতে পারবেন না। সেই সময়সীমা ছিল ২৫ মার্চ, যা পরে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় এবং বর্তমানে তা আবার ৫ এপ্রিল থেকে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে—যা যেকোনো সময় আবার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।