ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাথায় হেলমেট, বালতিতে হাতবোমা, শতাধিক বিস্ফোরণ

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

বালতিতে হাতবোমা, শতাধিক বিস্ফোরণ

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিলাসপুর ইউনিয়নের দুর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ব্যবহার করা হয়েছে শতাধিক হাতবোমা, যা গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সংঘর্ষের একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়—উভয় পক্ষের লোকজন খোলা মাঠে সংঘর্ষে লিপ্ত। অনেকের মাথায় হেলমেট, হাতে বালতি। বালতি থেকে তারা একের পর এক হাতবোমা ছুঁড়ছে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের দৃশ্য চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ জানান, দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত বিরোধের ধারাবাহিকতায় এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুটি পক্ষ—বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের অনুসারী। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। শনিবার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে বিস্ফোরিত হয় শতাধিক হাতবোমা ও ককটেল।

বোমার বিকট শব্দ ও ধোঁয়ায় দুর্বাডাঙ্গা এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, রাস্তাঘাটে নেমে আসে সুনসান নীরবতা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে চলছে অভিযান।

এলাকাবাসীর দাবি, বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি—এ ধরণের সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “মাথায় হেলমেট, বালতিতে হাতবোমা, শতাধিক বিস্ফোরণ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাথায় হেলমেট, বালতিতে হাতবোমা, শতাধিক বিস্ফোরণ

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিলাসপুর ইউনিয়নের দুর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ব্যবহার করা হয়েছে শতাধিক হাতবোমা, যা গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সংঘর্ষের একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়—উভয় পক্ষের লোকজন খোলা মাঠে সংঘর্ষে লিপ্ত। অনেকের মাথায় হেলমেট, হাতে বালতি। বালতি থেকে তারা একের পর এক হাতবোমা ছুঁড়ছে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের দৃশ্য চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ জানান, দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত বিরোধের ধারাবাহিকতায় এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুটি পক্ষ—বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের অনুসারী। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। শনিবার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে বিস্ফোরিত হয় শতাধিক হাতবোমা ও ককটেল।

বোমার বিকট শব্দ ও ধোঁয়ায় দুর্বাডাঙ্গা এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, রাস্তাঘাটে নেমে আসে সুনসান নীরবতা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে চলছে অভিযান।

এলাকাবাসীর দাবি, বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি—এ ধরণের সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।