বিদেশি মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণা রুখতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

- আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কিছু বিদেশি মিডিয়া প্রায়ই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দেশের গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। এতে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বার্ষিক মহাষ্টমী স্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যদি কোনো ভুল করি, আপনারা অবশ্যই তুলে ধরবেন। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মিথ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানো উচিত নয়। দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থেকেই গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।”
স্নানোৎসব প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এবার নদীর পানি ভালো থাকায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্নান চলবে। পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, আনসার, প্রশাসন ও ম্যাজিস্ট্রেটরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।”
পর্যটন সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লাঙ্গলবন্দকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে এটি একটি ধর্মীয় স্থান, তাই এর ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করেই যেকোনো পরিকল্পনা নিতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে বসবাস করে। লাঙ্গলবন্দ এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য উদাহরণ।”
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বার্ষিক মহাষ্টমী স্নানোৎসব চলছে। দুই দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে এবং চলবে শনিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে লাখো পুণ্যার্থী এতে অংশ নিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো উৎসব নিরাপত্তায় ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে সুষ্ঠুভাবে উৎসব সম্পন্ন হয় এবং পুণ্যার্থীদের যাত্রা নিরাপদ হয়।