ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় আরো একটি রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন, নিহত ৩৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন, নিহত ৩৫

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অনাহারক্লিষ্ট গাজাবাসী পুরো মাস খেয়ে না খেয়ে রোজা পালনের পর একটুখানি ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতেও বাধ সাধলো রক্তপিপাসু বর্বর ইসরাইল। যাতে আরো একটি রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন কাটলো ফিলিস্তিনিদের।

রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও গাজাবাসীর ওপর বোমা হামলা চালানো দখলদার ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ এ হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫-এ পৌঁছেছে।

রোববার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে আল-জাজিরা।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির মাঠ পর্যায়ে থাকা সাংবাদিকরা নিশ্চিত করেছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু রয়েছে।

তারা জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত তিন কন্যাশিশুর হৃদয়বিদারক দৃশ্য ধরা পড়েছে ভিডিও ফুটেজে। যা আল জাজিরার সানাদ ভেরিফিকেশন ইউনিট দ্বারা যাচাই করা হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুগুলো রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্ভবত ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নতুন পোশাক পরেছিল তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তীব্র বিমান হামলা শুরু করে। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৯৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলাগুলো গাজার বিভিন্ন অংশে চালানো হচ্ছে। যেখানে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে উপত্যকাটিতে বেঁচে থাকা মানুষগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছেন। কারণ ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এবং দ্রুত অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ সহায়তা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানালেই ইসরাইল তা অগ্রাহ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মিশরের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানালেও ইসরাইল তা মানছে না।যার ফলে এই মুহূর্তে গাজা আবারও ধ্বংসযজ্ঞের মুখে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

2 thoughts on “গাজায় আরো একটি রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন, নিহত ৩৫

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজায় আরো একটি রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন, নিহত ৩৫

আপডেট সময় : ১১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অনাহারক্লিষ্ট গাজাবাসী পুরো মাস খেয়ে না খেয়ে রোজা পালনের পর একটুখানি ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতেও বাধ সাধলো রক্তপিপাসু বর্বর ইসরাইল। যাতে আরো একটি রক্তাক্ত বিষাদময় ঈদের দিন কাটলো ফিলিস্তিনিদের।

রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও গাজাবাসীর ওপর বোমা হামলা চালানো দখলদার ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ এ হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫-এ পৌঁছেছে।

রোববার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে আল-জাজিরা।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির মাঠ পর্যায়ে থাকা সাংবাদিকরা নিশ্চিত করেছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু রয়েছে।

তারা জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত তিন কন্যাশিশুর হৃদয়বিদারক দৃশ্য ধরা পড়েছে ভিডিও ফুটেজে। যা আল জাজিরার সানাদ ভেরিফিকেশন ইউনিট দ্বারা যাচাই করা হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুগুলো রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্ভবত ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নতুন পোশাক পরেছিল তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তীব্র বিমান হামলা শুরু করে। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৯৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলাগুলো গাজার বিভিন্ন অংশে চালানো হচ্ছে। যেখানে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে উপত্যকাটিতে বেঁচে থাকা মানুষগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছেন। কারণ ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এবং দ্রুত অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ সহায়তা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানালেই ইসরাইল তা অগ্রাহ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মিশরের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানালেও ইসরাইল তা মানছে না।যার ফলে এই মুহূর্তে গাজা আবারও ধ্বংসযজ্ঞের মুখে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।