মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

- আপডেট সময় : ০৪:০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৭। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে ৬.৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
শক্তিশালী এই কম্পনের প্রভাব শুধু মিয়ানমারেই সীমাবদ্ধ ছিল না; পাশের দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে এবং থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের জান্তা সরকার ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা নিশ্চিত করেছেন যে, ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককেও জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
ব্যাংককে ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ধসে পড়েছে একটি ৩০ তলা নির্মাণাধীন আকাশচুম্বী ভবন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে, যা রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।
এএফপির নেপিডো প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে সেখানে রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে।
ভূমিকম্পটি এতই শক্তিশালী ছিল যে শত শত মাইল দূরে চীন ও থাইল্যান্ড থেকেও কম্পন অনুভূত হয়। থাই সরকার তাৎক্ষণিক বৈঠক শেষে ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যাংককের বাসিন্দারা আতঙ্কে ভবন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন। একটি ভবনের সুইমিং পুলের পানি ভূমিকম্পের ফলে নিচে ছিটকে পড়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের সময় ব্যাংককের বহু ভবন দুলতে শুরু করে এবং কিছু ভবনের জানালাও ভেঙে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশেই জরুরি উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
One thought on “মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা”