ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে মামলা

- আপডেট সময় : ০১:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন মো. মেহেদী হাসান নামে এক ইলেকট্রিশিয়ান। আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল হক মামলাটি গ্রহণ করে ১৯ মে’র মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৪ মার্চ মেহেদী হাসানের ভাই, অটোরিকশাচালক ও নবীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু কালামকে কোম্পানীগঞ্জ নগরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে আটক করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে তাকে মুক্তির অনুরোধ করলে ওসি জাহিদুর রহমান এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর আগে অন্যান্য আসামিরা মেহেদী হাসানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আরও ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাঙ্গুরা থানার আকুপুকুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ হক সিদ্দিকী, ত্রিশ গ্রামের আল মামুন, মুরাদনগরের সাজিদ, বাহারামের কান্দার আরাফাত, নবীপুর গ্রামের মিজান, বাখর নগরের এনামুল হক আসিফ, মুরাদনগরের মাহি, জিসান, নোয়াকান্দির ইকরাম, শারফিনের ছেলে সাইম, নিমাইকান্দির নাঈম, বাখর নগরের মহিউদ্দিন, ইউনুস মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেনের ছেলে তৌহিদ রাসেলসহ আরও অনেকে।
অভিযোগকারী মেহেদী হাসান জানান, “বিনা কারণে পুলিশ আমার ভাইকে ধরে এনে ঘুষ ও চাঁদা দাবি করেছে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি। ওসি জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।”
এদিকে, ২৪ মার্চ রাতে শ্রমিক দল নেতা আবুল কালামকে পুলিশ আটক করলে তাকে ছাড়ানোর জন্য স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীরা থানায় গেলে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ ঘটনার জেরে পুলিশ ও এক ছাত্র সংগঠনের নেতা পৃথক দুটি মামলা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ মার্চ মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় অর্ধদিবস পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হয়।