ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

সংস্কার কমিশন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করেছে, তার মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো হলো—স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে, আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব কমিশন হলো—সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।

প্রথম ধাপে ২০২৪ সালের অক্টোবরে জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন, নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং তাদের ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। পরে ৩ জানুয়ারি এই ছয় কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যার মধ্যে পাঁচটির মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল।

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর, এবং তাদের ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বর এসব কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, যেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সংস্কার কমিশনগুলো ওয়েবসাইট খুলে জনমত গ্রহণ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ এবং লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

এরপর, ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এদের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে ২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।

প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সুপারিশগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করেছে, তার মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো হলো—স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে, আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব কমিশন হলো—সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।

প্রথম ধাপে ২০২৪ সালের অক্টোবরে জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন, নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং তাদের ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। পরে ৩ জানুয়ারি এই ছয় কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যার মধ্যে পাঁচটির মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল।

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর, এবং তাদের ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বর এসব কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, যেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সংস্কার কমিশনগুলো ওয়েবসাইট খুলে জনমত গ্রহণ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ এবং লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

এরপর, ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এদের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে ২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।

প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সুপারিশগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।