ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

ইশরাক হোসেন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়র পদ বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ইশরাক হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ৩ মার্চ আদালতে মামলা করেছিলেন ইশরাক হোসেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এবং তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ইশরাক হোসেন
ইশরাক হোসেন

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রকাশ করে, এবং তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁদের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে, শেখ ফজলে নূর তাপসের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়েছেন।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করে থাকে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারেন, যা ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৩:৪০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়র পদ বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ইশরাক হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ৩ মার্চ আদালতে মামলা করেছিলেন ইশরাক হোসেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এবং তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ইশরাক হোসেন
ইশরাক হোসেন

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রকাশ করে, এবং তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁদের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে, শেখ ফজলে নূর তাপসের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়েছেন।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করে থাকে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারেন, যা ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে।