নীতি প্রণয়নের ঘোষণা
‘কোনো প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না’

- আপডেট সময় : ১১:২৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, এমন নীতি প্রণয়ন করা হবে যাতে সরকার বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে।
রবিবার ((৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত ‘দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্সে আমরা ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। পাশাপাশি নতুন টেলিযোগাযোগ আইনে এমন কোনো বিধান রাখা হবে না, যা সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ দেয়।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি। এটিকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণের আওতায় এনে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। আমরা এমন নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরি করবো, যাতে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় স্বৈরাচারী সরকার একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল। এর ফলে ফ্রিল্যান্সাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাঘাত ঘটেছে, এমনকি ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং কমে গেছে। এফডিআই ব্র্যান্ডিংও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে যেন কোনো সরকার গ্রহণ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হুসাইন।
আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংগঠন এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা দ্রুতগতির, মানসম্মত ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেট নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সরকারও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।