ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টারলিংক- বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশিদারত্ব চুক্তি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সংস্থা স্টারলিংকের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। শনিবার (৮ মার্চ) প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের টিম বর্তমানে বাংলাদেশে সফরে রয়েছে। এ সময়ে স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এই চুক্তি কবে কোথায় কীভাবে হয়েছে তা বলা হয়নি এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, চুক্তিগুলোর মধ্যে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

স্টারলিংক টিমের এই সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বলে জানা গেছে। কিছু জায়গায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে, আবার কিছু জায়গায় স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জায়গা বিবেচনা করছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান ও বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা চলছে।’

স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা থেকে মুক্ত অবস্থায় নির্ভরযোগ্য ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তৈয়ব। এতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করা হবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেডের ফাইবার নেটওয়ার্কের কাভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে, তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করেন তিনি।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি ‘সেনসিবল মডেল’ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা মাস্ককে বলেন, ‘তার বাংলাদেশ সফর বাংলাদেশের তরুণ পুরুষ ও নারীদের সঙ্গে তাকে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেবে, যারা এই শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম।’

প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করার জন্য তার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা মাস্কের সঙ্গে ভবিষ্যতের সহযোগিতা খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করতে আরও অগ্রগতি নিতে একটি বিস্তৃত টেলিফোনিক আলোচনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্টারলিংক- বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশিদারত্ব চুক্তি

আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সংস্থা স্টারলিংকের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। শনিবার (৮ মার্চ) প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের টিম বর্তমানে বাংলাদেশে সফরে রয়েছে। এ সময়ে স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এই চুক্তি কবে কোথায় কীভাবে হয়েছে তা বলা হয়নি এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, চুক্তিগুলোর মধ্যে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

স্টারলিংক টিমের এই সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বলে জানা গেছে। কিছু জায়গায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে, আবার কিছু জায়গায় স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জায়গা বিবেচনা করছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান ও বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা চলছে।’

স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা থেকে মুক্ত অবস্থায় নির্ভরযোগ্য ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তৈয়ব। এতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করা হবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেডের ফাইবার নেটওয়ার্কের কাভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে, তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করেন তিনি।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি ‘সেনসিবল মডেল’ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা মাস্ককে বলেন, ‘তার বাংলাদেশ সফর বাংলাদেশের তরুণ পুরুষ ও নারীদের সঙ্গে তাকে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেবে, যারা এই শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম।’

প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করার জন্য তার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা মাস্কের সঙ্গে ভবিষ্যতের সহযোগিতা খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করতে আরও অগ্রগতি নিতে একটি বিস্তৃত টেলিফোনিক আলোচনা করেন।