ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে 

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 78

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাগুরার ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ (৮ মার্চ) বুধবার বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ শিশুটিকে দেখতে গেলে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল ৫টার পর শিশুটিকে কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নেওয়া হয়, সঙ্গে ছিলেন একদল চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানো হচ্ছে। পাশবিক নির্যাতনের ফলে তার যৌনাঙ্গে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়েছে, গলায় আঘাত রয়েছে।

সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে 
সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে

শিশুটি মাগুরা শহরে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, শিশুটির ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মিলেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার দুলাভাই ও শ্বশুরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি কেন্দ্র করে মাগুরায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে এবং থানার সামনে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী নামানো হয়।

এদিকে, শিশুটির মা আজ শনিবার সকালে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন এবং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

2 thoughts on “সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে 

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মাগুরার ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ (৮ মার্চ) বুধবার বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ শিশুটিকে দেখতে গেলে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল ৫টার পর শিশুটিকে কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নেওয়া হয়, সঙ্গে ছিলেন একদল চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানো হচ্ছে। পাশবিক নির্যাতনের ফলে তার যৌনাঙ্গে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়েছে, গলায় আঘাত রয়েছে।

সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে 
সিএমএইচে পাঠানো হলো মাগুরার সেই শিশুকে

শিশুটি মাগুরা শহরে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, শিশুটির ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মিলেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার দুলাভাই ও শ্বশুরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি কেন্দ্র করে মাগুরায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে এবং থানার সামনে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী নামানো হয়।

এদিকে, শিশুটির মা আজ শনিবার সকালে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন এবং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।