ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল রাবি

- আপডেট সময় : ১১:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষক ও নিপীড়কদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে উত্তাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তারা নারীদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত, যাতে নিপীড়করা ধর্ষণের কথা ভাবলেও ভয় পায়।”
সমাবেশে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, “দেশে আজ পরিকল্পিত ধর্ষণযজ্ঞ চলছে, যেখানে আট বছরের শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না। এসব ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৭১ সালের গণঅভ্যুত্থানে নারীদের অবদান ছিল বিশাল, অনেক নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে এ নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। এই দেশে ধর্ষকদের কোনও স্থান নেই।”
তিনি অবিলম্বে সকল ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। বিক্ষোভে বিভিন্ন হলের ছাত্রীরা সহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিকালে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ নারীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে জেবা রাহাত তন্দ্রা বলেন, “আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলছি, অথচ ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। নারী উত্ত্যক্তকারীকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়। এখনই সোচ্চার না হলে নারীদের আরও নির্যাতিত হতে হবে।”
শিক্ষার্থী আফরিনা আফরিন বলেন, “১৮৫৭ সালে অধিকার আদায়ের রাজপথে নামলে তৎকালীন রাষ্ট্রশক্তি নারীদের নির্যাতন চালায়, আর আজও সেই নির্যাতন ক্রমবর্ধমানভাবে চলছে। ৮ মার্চ নারী দিবস হলেও, সমাজে নারীর অবস্থান উন্নতি হয়নি।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, “চব্বিশে নারীদের সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান হলো, অথচ এখনো নারীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চলছে। রাস্তাঘাট, বাড়ি, গাড়ি সর্বত্র নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে। অথচ উপদেষ্টারা ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারছেন না। অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়কদের শাস্তি নিশ্চিত করুন, অথবা অপারগতায় দায়ী হয়ে পদত্যাগ করুন।”
সংগঠনের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান আমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।