দুই থানার ঠেলাঠেলিতে বাস ডাকাতির তিনদিন পর মামলা, ওসি প্রত্যাহার

- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

চলন্ত বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ ওঠার তিন দিন পর অবশেষে আজ (শুক্রবার) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসটিতে এসব অভিযোগের ঘটনা কোন জেলার সীমানায় ঘটেছে, এই প্রশ্নে ঠেলাঠেলি চলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর পুলিশের মধ্যে। সেটি মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের বড় কারণ বলে বলা হচ্ছে। সর্বশেষ এই ঘটনা মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রশ্নে মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
যেদিন ঘটনা ঘটেছে, তার পরদিন সকালে যাত্রীরা অভিযোগ করলেও মামলা নেয়নি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। সীমানা জটিলতার কথা বলে তারা ঠেলে দিয়েছিল বাসটির চলার রুটে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার দিকে।
আবার মির্জাপুর থানা থেকে বিবিসিকেও বলা হয়েছিল যে, এই ঘটনা মির্জাপুর থানার সীমান্তে ঘটেনি।
যদিও যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসের চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে আটক করেছিল। আটকদের আদালতে সোপর্দ করলেও সেদিনই সন্ধ্যা নাগাদ তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।
দুই থানা পুলিশের দায়িত্বএড়ানোর চেষ্টায় তিনদিন কোনো মামলা হয়নি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
বাসটির চালকসহ আটকদের জামিনে মুক্তি এবং সময়মতো মামলা না নেওয়া-এ নিয়েও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ, প্রশাসন তথা সরকারের সমালোচনা চলছে।
এমন প্রেক্ষাপটে শেষপর্যন্ত মামলা নিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে ওই বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
এদিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নাটোর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।