আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ দাখিল
পলাশবাড়ীর আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে গোপনে ৫টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য করায় শাহারুল ইসলাম নামে এক সচেতন ব্যক্তি ২ জানুয়ারী গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজার এলাকার আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার, সহকারী সুপার ও তিন জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীসহ ৫ জনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ৯ ডিসেম্বর শনিবার ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে গোপনে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়।
এব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি লেখাপড়া জানি না, আমি একজন কৃষক মানুষ আমি এতো কিছু বুঝি না আমাকে স্বাক্ষর করতে বললে আমি স্বাক্ষর দিয়েছি। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার ও তার মনোনীত মাদ্রাসার শিক্ষক মামুনসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে ২২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। আমি সভাপতি হিসাবে নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও কারা এসব পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের আমি দেখিনি বা তারা কারা তা বলতে পারবো না।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবক সদস্য জানান, পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার তার মনোনীত প্রার্থীদের দিয়ে এসকল নিয়োগ সম্পন্ন করা হলেও আমরা নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে বিশ্বাস্ত সূত্রে জানা যায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে গোপনে ৫টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করা হয়।
মাদ্রাসাটির সঠিক সময়ে শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত না হওয়া ও নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান সচেতন মহল।