সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুলের স্ত্রী ইয়াসমিন বাদী হয়ে আলী ও সাংবাদিক জিএম সোহাগের বিরুদ্ধে সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
চলতি মাসে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির কাউন্দিয়া ইউনিয়নে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মাদকবিরোধী এক সভা করেন। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকাবাসী ও কাউন্দিয়া ফাঁড়ি পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় কাউন্দিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজী আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাবুল ওরফে ‘হাত কাটা বাবুল’-কে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এর কিছুদিন পর আরেক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফালানকে ৫ কেজি গাঁজাসহ এবং পরে বাবুলের সহযোগী সাইফুলকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেওয়া সোর্স মিজানকেও ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকতার কবিরাজ বলেন, “পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। তাই তারা এখন মাদকবিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করতে চাইছে। সম্প্রতি এলাকায় মাদকবিরোধী একটি গণআন্দোলন গড়ে উঠেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাংবাদিক সোহাগ। এজন্য তাকে টার্গেট করেছে প্রভাবশালী একটি মাদকচক্র।”
[caption id="attachment_1267" align="aligncenter" width="627"] সাভারে গাঁজাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ‘হাত কাটা বাবুল’ গ্রেপ্তার[/caption]
তিনি আরও বলেন, “এলাকার একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করছে।”
স্থানীয় স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, “যারা সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আজ মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন যাঁরা দেখাচ্ছেন, তাঁদের পাশে এখনই দাঁড়ানোর সময়।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিক সোহাগ বলেন, “ফাঁড়ি থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল, তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে একজন অভিযোগ দায়ের করেছেন, তবে সেই দিনের ঘটনার পুরো ভিডিও আমার কাছে রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্দিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজী আব্দুর রহিম বলেন, “সাইফুলের বাসায় মাদক আছে বলে আমাদের একজন সোর্স তথ্য দেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি বাসায় তালা মারা। এলাকাবাসী তখন তার বাসায় অন্য তালা লাগিয়ে দেয়। পরদিন এলাকাবাসী ও সাইফুলের স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালা খোলা হয়।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনার সময় সাংবাদিক সোহাগকেও আমরা সেখানে ডেকেছিলাম। তবে ঘটনার একদিন পর আলী ও সাংবাদিক সোহাগের নামে সাইফুলের স্ত্রী সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ফাঁড়ির এক সাব-ইন্সপেক্টর।”
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com