রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছিল। তারা রাস্তার মাঝখানে ত্রিপল বিছিয়ে অবস্থান নেন, মঞ্চ বানিয়ে বক্তৃতাও চলছিল। শুক্রবার বিকেলে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের অপর একটি পক্ষ এসে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি তোলে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তারা উভয় পক্ষকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় এবং শাহবাগ মোড় পুরোপুরি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
অবরোধবিরোধী পক্ষ বলছে, ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধারা’ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে না। তাই শাহবাগ অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এই অবরোধের পেছনে থাকা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে
জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণ
পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে
বিশেষ আইন সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন
দমন-পীড়নের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে
‘সত্য ও ন্যায় কমিশন’ গঠন
গত ২২ জুন সরকার ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ। ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’-এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এই ক্ষোভ জানানো হয়। আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, যদি সরকার প্রতিশ্রুতি না রাখে, তাহলে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে তারা বাধ্য হবেন।
এদিকে শুক্রবার ছুটির দিন হলেও শাহবাগ অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাশের সড়কগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং যান চলাচল কিছুটা স্বস্তির পথে ফিরে আসে।
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com