কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসাতে ভুয়া মামলা করলে আগের তুলনায় এখন বেশি শাস্তি বাড়ছে, গুনতে হবে জরিমানাও। ২০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ডের পরিবর্তে এখন থেকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। এমন বিধান যুক্ত করে সিভিল কার্যবিধি / কোড অব সিভিল প্রসিডিউর (সিপিসি) সংশোধন অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রচলিত কথা আছে— কারও সঙ্গে শত্রুতা করতে চাইলে একটা জমির মামলা দিয়ে দাও। সেই মামলা শেষ হতে তিন প্রজন্ম লেগে যায়। এখন আমরা এমন পরিবর্তন আনছি যাতে এক প্রজন্মেই মামলা নিষ্পত্তি হয়।”
তিনি আরও বলেন, বিচারপ্রার্থী নাগরিকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সিপিসিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন, আদালতে উকিলরা কতবার সময় চাইতে পারবেন— তারও একটি সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
রিজওয়ানা হাসান জানান, আগে কোনো মামলার রায় কার্যকর করতে নতুন করে জারি মোকদ্দমা করতে হতো। এখন রায়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে, যাতে আলাদা করে আর নতুন মামলা করতে না হয়।
তিনি বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া এখনো অনেকটা সেকেলে রয়ে গেছে। তাই সমন বা নোটিশ পাঠানোর জন্য এখন থেকে টেলিফোন, মেসেজ বা অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রাখা হচ্ছে।”
সব মিলিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত ও আধুনিক করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে শাস্তি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক দণ্ড নির্ধারণকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com