ছুটির দিন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভূমিকম্পে কেপে উঠেছে মিয়ানমারের রাজধানীসহ দেশটির বিভিন্ন স্থান। ৭.৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো বাংলাদেশ থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরের মিয়ানমার। গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এমন ভূমিকম্প দেখা যায়নি।
মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়। পরপর দুটি ভূমিকম্পে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এবার দেখে নিবো গত দুই দশকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা। ২০২৩ সালে ৭, ১১ ও ১৫ অক্টোবর আফগানিস্তানে তিন দফা ভূমিকম্পে প্রায় দেড় হাজার নিহত ও দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। এছাড়া ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির পাশাপাশি পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৪০০ লোকের মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এতে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৫৯ জন নিহত হন।
[caption id="attachment_373" align="aligncenter" width="552"] মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা[/caption]
হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজার ২ শতাধিক নিহত হন। এছাড়া, ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার লোকের প্রাণহানি হয়।
২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে ১ দশমিক ৫ মিটার সুনামি হয়। এতে ৪ হাজার ৩ শতাধিক নিহত হয়। ২০০৪ সালে সুমাত্রায় ৯ দশমিক ১৫ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামি হয়। যা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কায় ও এ অঞ্চলের আরও একাধিক দেশে আঘাত হানে। এতে অনেক গ্রাম ও পর্যটন দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার নিহত ও নিখোঁজ হন।
ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় কেরমানশাহ অঞ্চলে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪ শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়। ২০১৭ সালে মেক্সিকোতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩৬৯ জনের প্রাণহানি হয়।
২০১৬ সালে ইতালিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ লোক নিহত হন। একই বছর ইকুয়েডরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সাড়ে ৬ শতাধিক লোক নিহত হন। নেপালে ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোক মারা যান।
২০১৪ সালে চীনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৬০০ জন এবং ২০০৮ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮৭ হাজার ৬০০ জন মারা যান।
[caption id="attachment_372" align="aligncenter" width="662"] ভয়াবহ ভূমিকম্প[/caption]
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ২০১৩ সালে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৮ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে অন্তত ৮২৫ জন ও ২০০৫ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৭৩ হাজার লোক নিহত হন। এর প্রভাবে কাশ্মীরেও ১ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়।
ইরানে ২০১২ সালে ৬ দশমিক ৪ ও ৬ দশমিক ৩ মাত্রার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৩০০ জন এবং ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় ৩১ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ১৫ হাজার ৬৯০ জন নিহত হন।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৮০ জন নিহত হন। আর চিলিতে ২০১০ সালে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামির ফলে ৫ শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়।
সূত্র: বাংলা অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com