একজন নাম, এক অনুপ্রেরণা—লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। যিনি কেবল গোল করেন না, ফুটবলকে রূপ দেন এক অনন্য কাব্যে। আজ, ২৪ জুন, সেই জাদুকরের জন্মদিন। ৩৭ বছরে পা দিলেন তিনি।
রোসারিওর এক ছোট্ট ছেলেটা, যে একসময় নিজের শারীরিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করত, সে-ই আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বার্সার লা মাসিয়ায় শুরু, ক্যাম্প ন্যুতে রাজত্ব, এরপর প্যারিস হয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি। বয়স বাড়ছে, কিন্তু তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কেবল বাড়তেই থাকছে।
মেসি—ঈশ্বর না কি স্রেফ এক বিনয়ী মানুষ?
মাঠে তিনি যেন গতি, কৌশল আর মায়ার এক নিখুঁত সংমিশ্রণ। মাঠের বাইরে আবার ঠিক উল্টো—নিভৃত, বিনয়ী। জন্মদিনেও চমকপ্রদ আয়োজন নয়, পরিবারকেই দেন সবচেয়ে বেশি সময়।
গোল নয়, তার গল্পই অনুপ্রেরণা
ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আটবার, বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ফাইনালিসিমা—আরও কত শিরোপা। তবু তার প্রভাব ট্রফির সংখ্যায় মাপা যায় না। তিনি শুধু খেলেন না, একটি প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে শেখান।
যখন এক শিশু বলে—"আমি মেসির মতো হতে চাই", তখন বোঝা যায়, তিনি শুধু ফুটবলার নন, সময়কে ছাপিয়ে যাওয়া এক প্রতীক।
শেষের আগে আরেক গল্পের শুরু?
৩৭ বছর বয়সেও ম্যাজিক দেখাতে জানেন মেসি। ক্লাব বিশ্বকাপে দলকে তুলেছেন শেষ ষোলোতে, সামনে মুখোমুখি হবেন সাবেক ক্লাব পিএসজির—যেখান থেকে বিদায়টা হয়েছিল খানিক অভিমান নিয়ে।
বয়সের ভারে হয়তো গতি কমেছে, কিন্তু পরিণতি বেড়েছে বহু গুণ। এখনো যখন বল পায়ে নেন, সময় যেন থেমে যায়।
মেসির জন্মদিনে তার উপহার কী?
তিনি নিজেই একবার বলেছিলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ফুটবলই।”
আর আমাদের উপহার?
আমরা চাই, তিনি থাকুন ঠিক যেমন আছেন। হয়তো মাঠে আর বেশি দিন নয়, কিন্তু তার ছায়া থেকে যাবে প্রতিটি কিশোরের চোখে, প্রতিটি স্বপ্নে—যারা বলবে, “আমি মেসিকে দেখে স্বপ্ন দেখতে শিখেছি।”
শুভ জন্মদিন, লিওনেল মেসি।
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com