বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ সেশনের দ্বিতীয় দিনে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
বর্তমানে তাদের প্রক্টর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃতরা হলেন- এখলাছুর রহমান ও মো. সজিব। এর মধ্যে এখলাছুর ঢাবির সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে। অন্যদিকে সজিব ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে ( সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা) প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন থেকে এবং দ্বিতীয় শিফটে সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন থেকে মূল পরীক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদের(রোল নম্বর-৩৯৫৩৪) পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সজিব। পরীক্ষা চলাকালে র্যাব তাকে আটক করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টে জানা গেছে, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ-ইউনিট প্রথম শিফট ভর্তি পরীক্ষায় ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে তামিম হাসান লিমন নামের একজন প্রার্থীর প্রক্সি দিতে এসে এম ওয়াজেদ মিঞা একাডেমিক ভবনের ২২২ নম্বর রুমে আমার হাতে ধরা পড়েছে এই ছেলেটি। সে প্রথমে নিজেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্স-এর ছাত্র দাবী করলেও ট্রিটমেন্ট দেয়ার পরে স্বীকার করেছে যে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী। নিজের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াতপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল কাশেম এবং মা মেনেকা বেগম। আমার বিভাগের কন্ট্রোল রুমে হস্তান্তর করার পরে তাকে সহকারী প্রক্টরদের তত্ত্বাবধানে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বদলি পরীক্ষা দেয়ার সময় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রক্টর অফিসে তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।