নজরুল ইসলাম বাবু
রাজধানীর ডেমরা থানার ৬৫ নং ওয়ার্ডের হাজী বাদশা মিয়া সড়ক এক সময় জঙ্গল থাকলেও বর্তমানে সেটি বহুতল ভবন দিয়ে ভরে গেছে। জনসাধারন ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভুমিকা পালন করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ। তাছাড়া প্রশাসন ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিয়মিত অপরাধ বেড়েই চলেছে। বাদশা মিয়া সড়কের ছেচড়া চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মনিরের অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারন জনগন। সে দীর্ঘদিন ধরে সমাজে নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল সকালে মাতুয়াইল নিউটাউন এলাকার কসাইবাড়ি মোড় সংলগ্ন আজাদ বিল্ডিং এর সামনে জসিম নামের এক ইট বালু ব্যবসায়ীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীকে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে পিটিয়েছে মনির, লোকমান, সাব্বিরসহ ১০/১২ জন। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে জসিম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী গ্রেফতার হলেও মূল আসামীদের ধরতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাতুয়াইল নিউটাউন এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মনির চাঁদাবাজির এক বসতি গড়ে তুলেছে। এলাকায় জমির মালিকগন তাদের বাড়িঘর নির্মাণে যখন ব্যস্ত, তখনই মাতুয়াইল এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ বরিশাইল্লা মনির চাঁদাবাজির নানা কৌশলে তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নিজে এলাকায় আদর্শ সমাজ কল্যান নামে একটি সংগঠন ব্যবহার করে সকলের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলেই চালায় নির্মম অত্যাচার। স্থানীয়রা মনে করছে, কাউন্সিলর সেন্টুর সাথে গোপন সম্পর্ক রেখে সব অপরাধ চালাচ্ছে অবলীলায়। মনির, লোকমান, সাব্বির, মেহেদী হাসান, রাজিব বালু ও ইট ব্যবসায়ীদের কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা আদায় করে।
জসিম জানায়, গত ১৩ এপ্রিল সকালে বাড়িওয়ালা আজাদের অর্ডার অনুযায়ী ইট ও বালু সরবরাহ করতে আসে। ওই বাড়িতে সে এক বছর যাবৎ মালামাল সরবরাহ করেন। মালামাল সরবরাহ করার কারনে জসিমের কাছ থেকে মনির ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় ওই আসামীরা আমাকে ১ ঘন্টা ইট ও লোহা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনায় তার ভাই ওমর ফারুক বাদী হয়ে ডেমরা থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১৪। ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এজহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার করা হয় নি। আসামীরা আমাকে এখনও মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানতে চাইলে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলমান আছে। শীঘ্রই মূল আসামীকে ধরে আইনের আওতায় এনে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।