দৈনিক দেশ আমার ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি :
রাজধানীর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া দম্পতিসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জুলাই) মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ-৮ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে পাপিয়া দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ৩১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।
এ মামলায় অপর চার আসামি হলেন—পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অস্ত্র মামলা ছাড়া বাকি মামলাগুলো হলো— শের-ই-বাংলা নগর থানার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়রে মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা।