নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানী ডেমরা থানাধীন দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ওর্য়াড নং-৬৬। ঘনবসতি ও মিল কল কারখানায় পরিপূর্ন এলাকা ৬৬ নং ওয়ার্ড। ডেমরা বামৈল প্রধান সড়ক এলাকায় সব সময় লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো রাস্তায় পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপের নোংরা পরিবেশে গন্ধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনাপাড়া হতে স্টাফ কোয়ার্টার অটোরিক্সা ইজিবাক চলাচল করা যাএী ও পথচারী বিভিন্ম গনপরিবহন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাএ-ছাএীরা ও স্হানীয় বাসিন্দারা চলাচল করার সময় ভোগান্তি শেষ নাই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমানে কাউন্সিলর মতিন সাউথ ও স্বতন্ত্র মহিলা কাউন্সিলর সংরক্ষিত নিলুফা ইয়াসমিন লাকী টিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাপ্তি এন্টারপ্রাইজ নামে ট্রেন্ডার পায়। স্হানীয় বাসা বাড়ী ময়লা আর্বজনা অপসারনের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে থেকে ট্রেন্ডার মাধ্যমে এক সময় জাতীয়তাবাদী ছাএদলের সক্রিয় নেএী হিসাবে তার নির্বাচনী এলাকায় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বেশ পরিচিত। এলাকা ঘুরে দেখা যায়,অএ এলাকায় স্হানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে এতোটাই এখনো ক্ষোভ বিরাজ করছে যে নিলুফা ইয়াসমিন লাকী কিভাবে মহিলা কাউন্সিলর হলো!কার ছএছায়া লাকী কাউন্সিলর?নানা জনের প্রশ্ন?সাংবাদিকরা সরজমিনে জানতে পারে,এক স্হানীয় প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন,আমাদের তৎকালীন আওয়ামীলীগের ঢাকা-০৫ আসনের সাবেক প্রয়াত এমপি পুএে ব্যাক্তিগত কারসাজি ও Give And take মাধ্যমে সাবেক বিএনপি নেএী নিলুফা ইয়াসমিন লাকীকে কাউন্সিলর বানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তালিকায় ছিলেন আওয়ামী যুব-মহিলা লীগের নেএী ইন্জিনিয়ার মনিরা চৌধুরী।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব,ওবায়দুল কাদের এমপি নিজেই দলের মনোনয়ন বোর্ডের মনিরা চৌধুরী সহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সকল সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নাম সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষনা করেন । সে সুবাদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ৬৪/৬৫/৬৬ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর দলীয় প্রার্থী ছিলেন ইন্জিনিয়ার মনিরা চৌধুরী। মনিরা চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী যুব-মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পায়।কিন্তু ইন্জিনিয়ার মনিরা চৌধুরী মনোনয়ন পাওয়া শর্তেও তৎকালীন প্রয়াত এমপি ঢাকা-০৫ আসনের সংসদ সদস্য এর পুএ ™;;একান্ত বিশেষ পছন্দের প্রার্থী বিএনপির নেএী নিলুফা ইয়াসমিন লাকীকে নারী কাউন্সিলর বানানো জোর প্রচেষ্টা নিয়ে দলীয় হাই কমান্ড ও স্হানীয় প্রবীন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কথা উপেক্ষা করে এক সময় বিএনপির ছাএদলের নেএী বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকীকে বিজয়ী করার চ্যালেন্জ নিয়ে মাঠে নামেন প্রয়াত ঢাকা-০৫ আসনের এমপি পুএ!! প্রয়াত এমপি পুএ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী মনিরা চৌধুরীকে নির্বাচনে মাঠে থাকতে নাহ দিয়ে বিএনপির নেএী নিলুফা ইয়াসমিন লাকীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে বর্তমানে কাউন্সিলর বানায়! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক স্হানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতা বলেন,প্রয়াত এমপির পরিবারে অনিয়ম এর জন্য আজকে আমরা মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থানা আওয়ামীলীগ সহ ঢাকা-০৫ আসনের গ্রুপিং রাজনীতি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং ত্যাগী তৃন্যমুল আওয়ামী লীগ এর বহু নেতা কর্মীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাংবাদিকদের আরো বলেন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর দলীয় পদে মনিরা চৌধুরীর কে প্রয়াত এমপি জোস্ঠ্য পুএ বর্তমানে ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল সাহেব সহ আমরা পুরাতন আওয়ামী লীগ যারা করি,তখন দলীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনিরা চৌধুরী পক্ষে প্রচার প্রচারনা করি আমরা ভোট দলীয় প্রার্থী ইন্জিনিয়ার মনিরা চৌধুরী পক্ষে ভোট দেওয়া জন্য ভোটারদের উউঐএমনকি আমরা ভোটের দিন দলীয় প্রার্থী মনিরা চৌধুরী পক্ষে আনারস মার্কায় ভোট দিয়েছি ও ভোট চেয়েছি।এদিকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলো দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচন প্রার্থী ইন্জিনিয়ার মনিরা চৌধুরী আমরা বেশ কয়েকজন সহ কাউন্সিলর নির্বাচনে ২ দিন আগে রাতে জনসংযোগ করার সময় ধার্মিক পাড়া এলাকায় প্রয়াত এমপি ছেলের পছন্দের প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেএী নিলুফা ইয়াসমিন লাকী সমর্থকরা বেড়ধক মারধর করে গুরুতর আহত করে দলীয় প্রার্থী ইন্জিনিয়ারি মনিরা চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজনকে।এই ঘটনা স্হানীয় এলাকাবাসী সবাই জানে দেখেছে।এই হামলায় বিএনপি স্হানীয় নেতা কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়।এই নিলুফা ইয়াসমিন লাকী ছিলেন স্হানীয় চিহ্নিন্ত ২০০০ সালের তৎকালীন জাতীয়তাবাদী বিএনপি স্হানীয় সাড়া দেশে আলোচিত এমপি দৌড় সালাউদ্দিনের অত্যন্ত আস্হাভাজন নেতা কোনাপাড়া কাঠের পুল এলাকার জাকির হোসেন জিকুর সাথে এই নিলুফা ইয়াসমিন লাকী সক্রিয় বিএনপি ছাএদলের নেএী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী ওর্য়াড নং ৬৪/৬৫/৬৬ দায়িত্ব পালন করছেন। লাকী কাউন্সিলর তিনি আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একজন লোক দেখানো সমর্থক ছাড়া আর কিছুই হতে পারে নাই,স্হানীয় সুএে জানা যায় নিলুফা ইয়াসমিন লাকী সবে মাএ আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম পূরন করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়া অনলাইন মিডিয়া নিলুফা ইয়াসমিন লাকী ময়লা বানিজ্য টিকাদারী নাম-প্রাপ্তি এন্টারপ্রাইজ বিরুদ্ধে সংবাদ প্রদর্শন হয়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সরকারি ট্রেন্ডারের মাধ্যমে যে ব্যাক্তি ময়লার ট্রেন্ডার পায়,সে ময়লা ট্রেন্ডারে বিপরীতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সার্ব কন্ট্রাকে ৬৬ নং ওয়ার্ড এর ময়লা আর্বজনা অপসারন দায়িত্ব নেয় স্হানীয় মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী।তিনি পুরো ৬৬ নং ওয়ার্ডে স্হায়ী ভাবে ২৫০০/ ৩০০০ টি বাড়ী ও হোটেল রেঁস্তোরা সহ স্হানীয়রা জানায়,তৎকালীন মহিলা কাউন্সিলর ইন্জিনিয়ার মুনিরা চৌধুরী মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের ০৬/০৭/০৮/ মহিলা মেম্বার দায়িত্বে ছিলেন।পরে ২০১৯ সালে যাএাবাড়ী থানা ডেমরা থানা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতায় কাউন্সিলর প্রথম সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে (৬৪/৬৫/৬৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান ৬৪/৬৫/৬৬/ নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন ইন্জিনিয়ার মুনিরা চৌধুরী। ২য় ধাপে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চলাকালীন পুনরায় তৎকালীন এমপি প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা সাহেবের পুএের সুদৃষ্টি কারনে আজ নিলুফা ইয়াসমিন লাকী সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হতে পেরেছেন। আর্বজনা ময়লার দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন যার নামে টেন্ডারের মাধ্যেমে লিজ আছে ও তখন কাউন্সিলর লাকী মুল কনট্রাকে ব্যাক্তির সাথে যোগসাজশ মাধ্যমে সার্ব কন্ট্রাকে নিয়ে ময়লার ময়লার বানিজ্য করছে। এই পঁচনশীল ময়লা আর্বজনা ৩/৪ দিন আবার ৭ দিনের আগের ময়লা এক বারে নিতে কিছু বললে লাকীর লোকজন গরম/উওেজিত হয়ে কথা বলে,মাস শেষে ময়লার টাকা দিতে একটু দেরী হলে বিভিন্ন প্রকার খারাপ ব্যবহার করে কাউন্সিলর লাকী লোকজন টাকা উওোলন করে।এই বামৈল এলাকার প্রধান সড়কটি যেন আবর্জনা ফেলা নিদিষ্ট জায়গার পরিণত হয়েছে! ব্যাপারটা এরকম (জোর যার মূলূক তার) মন খুশি মত জনগন চলাচলের রাস্তা পাশে ময়লা আর্বজনার ডাম্পিং জোন পরিনত করেছেন স্হানীয় কাউন্সিলরা।এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পথচারীসহ স্হানীয় এলাকার বাসিন্দারা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে স্হানীয় সরকার এলজিআরডি অধীনে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার পরিধি বাড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে ৩ টি করে সাবেক ওর্য়াডকে নিয়ে গঠিত বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড। এর ধারাবাহিকতা নির্বাচন কমিশন নির্দেশনায় নির্বাচনী তফসিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কিছু আওয়ামী লীগের স্বার্থ বাদী নেতাদের কারসাজি ও সহযোগিতার বিজয়ী হয়ে ময়লার বানিজ্য সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। সাবেক মাতুয়াইল ইউনিয়ন ও সারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের যাএাবাড়ী ও ডেমরা থানা কিছু ওয়ার্ড দক্ষিন সিটির অন্তভুক্ত হয়।এছাড়া উক্ত ওর্য়াডগুলো নগর সিটিতে রুপান্তরের পর থেকে হাজারো নাগরিক সমস্যার মধ্যে বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৬৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় দৈনিক প্রায় ২৫ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কিন্ত এই বর্জ্য ফেলার জন্য এ এলাকায় নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিনের অভাব রয়েছে।
ফলে যত্রতত্র যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে এ এলাকার ময়লা-আবর্জনা। এই ময়লা-আবর্জনার ফেলার জন্য বামৈল প্রধান সড়কের পাশে বেছে নিয়েছেন স্হানীয় মহিলা কাউন্সিলর কর্তৃপক্ষ।সড়কের পাশে তো ফেলা হচ্ছেই আবার কোথাও সড়কের পিচের উপর পর্যন্ত আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। দিন যত যাচ্ছে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে।এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে ও হাইজেনিক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে সড়কের পাশে গড়ে উঠা ময়লার ডিপোর কারণে পথচারীদের নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয় অনেক সময় শরীরে পারসোনাল পারফিউম ব্যবহার করতে হচ্ছে। অন্য দিকে ময়লার উৎকট গন্ধে পথচারীদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে এলাকার অএ এলাকার পরিবেশ ও স্হানীয় বাসিন্দাদের শরীর স্বাস্থ্য। এছাড়া সড়কের পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলায় মরার উপক্রম হয়েছে সড়কের পাশের গাছগুলোর ক্ষতি হচ্ছে স্হানীয় বাসা বাড়িতে পলিথিন পোঁড়ানো বিষাক্ত গন্ধে পরিবেশে দারুণ ক্ষতি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ময়লা-আবর্জনার অধিকাংশই পঁচনশীল পদার্থ। কাঁচা বাজারের শাকসবজি, হোটেলের বাসি-পঁচা খাবার এবং স্হানীয় মুরগীর ব্যবসায়ীদের মুরগীর নাড়িভুড়ি এবং বাসাবাড়ির ময়লার প্রায় ৯০ ভাগ পঁচনশীল। ফলে এগুলো ফেলার অল্প সময়ের মধ্যেই পঁচে গিয়ে বিদঘুটে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে।অন্যদিকে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও ময়লার অস্হায়ী ডিপোতে পলিথিনে সয়লাব। পঁচনশীল পদার্থ নষ্ট হয়ে গেলেও পলিথিনগুলো থেকে যাচ্ছে অক্ষত। স্হানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় এসব পলিথিন বৃষ্টির পানিতে ভেসে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্হানীয় জনগন কলেরা,টাইফয়েড,সিফিলিস একজিমা মত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্হানীয় এলাকা বাসী ও দোকানিদের অভিযোগ বর্জ্য নেওয়ার কর্মীরা ঠিকমতো ময়লা বাসাবাড়ি ও দোকান পাট থেকে নেয় না।তিন চার দিন পর পর ময়লা নেয়াসহ অতিরিক্ত ময়লার বিল নিধারনের নানান অভিযোগ তুলে ধরেন।স্হানীয় হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে ৫০০০/৬০০০ টাকা করে ময়লা চাঁদা আদায় করছে অভিযোগ আছে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী বিরুদ্ধে ।
স্থানীয় কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন,আমাদের বামৈল বাঁশেরপুল এলাকার রাস্তা সংকুচিত, কিন্তু স্হানীয় কাউন্সিলরদের লোকজন রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা রেখে অস্হায়ী ময়লার ডাম্পিং করেছে।আমরা দুর্গন্ধের জন্য বাসায় ঠিক মত পড়াশোনা করতে পারছি নাহ। অনুসন্ধানে জানা যায়,স্হানীয় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী ময়লা আর্বজনা ডিপো করায় কারনে বেড়েছে বেয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। জমে থাকা ময়লার স্তুূপের কারণে নাখ মুখ বন্ধ করে হাঁটতে গিয়ে হিংস্র কুকুরের হামলা কামড়ের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা ও স্হানীয় এলাকাবাসীরা। ঢাকা দক্ষিণ ৬৬ নং ওয়ার্ড ময়লা ফেলার জন্য কোন নিদিষ্ট ডাম্পিং এর ব্যবস্থা নেই।
কোনাপাড়ার বাসিন্দা আসাদুল্লাহ একজন চাকুরীজীবী বলেন,এই বামৈল প্রধান সড়ক ময়লার দুগন্ধে দিয়ে পার হচ্ছেন আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা৷ আর ভ্যান থেকে ময়লা-আবর্জনা সড়কে নামিয়ে তা ঘেঁটে বিভিন্ন ভাঙাচোরা জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আবর্জনার পানি গড়িয়ে পড়ছে পঃয়নিষ্কাশনের ড্রেনে। পরে আবার আবর্জনা তুলে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন কনটেইনারে৷ তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঘাঁটাঘাঁটির কারণেই ময়লার দুর্গন্ধ কয়েক গুণ বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।এই স্থান থেকে দ্রুত অন্য স্থানে ময়লার ডিপো সরানোর জোর দাবি জানিয়েছে এলাকারবাসী।
স্টাফ কোয়াটার টু কোনাপাড়া এ সড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালক সোহরাব হোসেন বলেন,এ সড়ক দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে গেলে দুর্গন্ধ যাত্রীদের দম বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্রপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ি, দোকান ও মার্কেটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিকমতো গৃহস্থালির বর্জ্য ময়লা সংগ্রহ করছে না নিলুফা ইয়াসমিন লাকী কাউন্সিলরের লোকজন। পর পর দুবার টেন্ডার নিয়ে ময়লার বানিজ্য শুরু করেছেন মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী। টিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাপ্তি এন্টারপ্রাইজ রিসিট দিয়ে বাড়ী বাড়ী ময়লার টাকা তুলে বিএনপি সক্রিয় স্হানীয় লোকজন!!
স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা একটাই ময়লার স্তূপ করে রাখা আবর্জনা দুর্গন্ধে চলাচল করতে হয়। নাক- শ্বাস বন্ধ করে এই সড়কে হাঁটতে হয়। আমরা মুখ চেপে এ দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা পরিবেশ সংরক্ষণ আইনবিরোধী কাজ। এলাকাবাসীর সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ময়লা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার সব কাজ করা উচিত।
এ ওয়ার্ডে ময়লার টেন্ডার নেওয়া প্রতিষ্ঠান প্রাপ্তি এন্টারপ্রাইজ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ডিএসসিসির ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিন সাউথ বলেন,কয়েকদিন ধরে এই স্থানেই বাসা বাড়ির ময়লা রাখা হচ্ছে এবং রাতে তা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে আমরা নিদিষ্ট ডাস্টবিনে জায়গা পেয়েছি,ডাম্পিং এর কাজ চলছে,যত দ্রুত সম্ভব তা সরিয়ে নেওয়ার হবে।